ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত ৩০, গ্রেফতার ৫

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

মো খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা বন্টন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা জেলা সদরসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার বিরাশার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ১০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও অন্তত ৩০টি বাড়ি লুটপাট হয়।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে জুয়া খেলা নিয়ে কাশেম মাস্টার ও বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর সদস্য আল আমিনের সঙ্গে তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও দুলাল আনসারি গোষ্ঠীর সদস্য নুরুল্লা এবং সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তলের ব্যবহার করতেও দেখা যায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খবর পেয়ে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবুল কাশেমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ সময় চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হই। আজ কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে তারা সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাবাজদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুয়ার টাকা ভাগভাটুয়ার গরমিল এবং পূর্ব কথা কাটাকাটি জের ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত ভয়াবহ সংঘর্ষ, আহত ৩০, গ্রেফতার ৫

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

মো খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার টাকা বন্টন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা জেলা সদরসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার বিরাশার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ১০টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও অন্তত ৩০টি বাড়ি লুটপাট হয়।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে জুয়া খেলা নিয়ে কাশেম মাস্টার ও বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর সদস্য আল আমিনের সঙ্গে তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও দুলাল আনসারি গোষ্ঠীর সদস্য নুরুল্লা এবং সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তলের ব্যবহার করতেও দেখা যায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খবর পেয়ে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবুল কাশেমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ সময় চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হই। আজ কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে তারা সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাবাজদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. সোহেল সহ ৪ পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুয়ার টাকা ভাগভাটুয়ার গরমিল এবং পূর্ব কথা কাটাকাটি জের ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করেছে।