ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দিগঞ্জে হঠাৎ স্যালাইন সংকট, বেশি বিপদ ডেঙ্গু রোগীদের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মশিউর রহমান সুমন
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা। সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রথম এবং প্রধান ঔষধ হিসেবে পরিচিত নরমাল স্যালাইনের। তবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন ফার্মেসীগুলোতে এর সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চড়া দামে স্যালাইন বিক্রি করছে।এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদার তুলনায় কম স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

চিৎকিসকরা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের রক্তের জলীয় অংশ কমে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে রক্তচাপ কমে যায়।ফলে রোগীদের রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের এনএস, এইচএস, ডিএনএস ও ০.৫ ডিএ স্যালাইন দিতে হয়। একজন রোগীকে দিনে ১ থেকে ২ লিটার স্যালাইন দিতে হয়।কোনো কোনো রোগীদের এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া একই স্যালাইন ডায়রিয়া, কলেরা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দেওয়া হয়।

তারা আরো জানান,ডেঙ্গু রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নরমাল স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। ফলে তুলনামূলক ভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই স্যালাইন সরবরাহ তেমন একটা বাড়েনি। পাশাপাশি বাজারেও এর সরবরাহ কমেছে।আর এই সুযোগে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ডেঙ্গু রোগী ও তার স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকায় স্যালাইন বিক্রি করছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীর স্বজন জানান, আমার স্ত্রীর পযন্ড জ্বর হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষা করে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং কিছু ঔষধ লিখে দেন বাহিরের ফার্মেসী থেকে নিয়ে আসতে। বাহিরে ফার্মেসীতে গিয়ে অনেক দোকান ঘুরে স্যালাইন পাওয়া গেলেও তার দাম রাখা হয় দ্বিগুণ । কিন্তু হাসপাতাল থেকে আমাদের কোন ঔষধ দেওয়া হয়না। আমাদেরকে এভাবেই রোগী নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মেহেন্দিগঞ্জে হঠাৎ স্যালাইন সংকট, বেশি বিপদ ডেঙ্গু রোগীদের

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

মোঃ মশিউর রহমান সুমন
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা। সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রথম এবং প্রধান ঔষধ হিসেবে পরিচিত নরমাল স্যালাইনের। তবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন ফার্মেসীগুলোতে এর সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চড়া দামে স্যালাইন বিক্রি করছে।এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাহিদার তুলনায় কম স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

চিৎকিসকরা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তদের রক্তের জলীয় অংশ কমে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে রক্তচাপ কমে যায়।ফলে রোগীদের রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের এনএস, এইচএস, ডিএনএস ও ০.৫ ডিএ স্যালাইন দিতে হয়। একজন রোগীকে দিনে ১ থেকে ২ লিটার স্যালাইন দিতে হয়।কোনো কোনো রোগীদের এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া একই স্যালাইন ডায়রিয়া, কলেরা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দেওয়া হয়।

তারা আরো জানান,ডেঙ্গু রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নরমাল স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। ফলে তুলনামূলক ভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই স্যালাইন সরবরাহ তেমন একটা বাড়েনি। পাশাপাশি বাজারেও এর সরবরাহ কমেছে।আর এই সুযোগে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ডেঙ্গু রোগী ও তার স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকায় স্যালাইন বিক্রি করছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীর স্বজন জানান, আমার স্ত্রীর পযন্ড জ্বর হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষা করে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং কিছু ঔষধ লিখে দেন বাহিরের ফার্মেসী থেকে নিয়ে আসতে। বাহিরে ফার্মেসীতে গিয়ে অনেক দোকান ঘুরে স্যালাইন পাওয়া গেলেও তার দাম রাখা হয় দ্বিগুণ । কিন্তু হাসপাতাল থেকে আমাদের কোন ঔষধ দেওয়া হয়না। আমাদেরকে এভাবেই রোগী নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।