ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে তালা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র ও সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন৷ পড়ে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যাবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পড়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। এরপরেই বিকাল ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এসময় ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি সেটি কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তারা প্রতিবেদন দেবে এবং সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । তোমরা শান্ত থাকো। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা এর বিচার করবো।

তবে তার এই কথায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এসময় তারা উপাচার্যের অপারগতাকে নিন্দা জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয় তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে এক চুল ছাড় দেব না।

দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে তালা

আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র ও সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন৷ পড়ে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যাবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পড়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। এরপরেই বিকাল ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এসময় ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি সেটি কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তারা প্রতিবেদন দেবে এবং সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । তোমরা শান্ত থাকো। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা এর বিচার করবো।

তবে তার এই কথায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এসময় তারা উপাচার্যের অপারগতাকে নিন্দা জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয় তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে এক চুল ছাড় দেব না।

দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।